রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজন হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২৯ জন। আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের হাসান মিয়া (২৫) ও বরিশালের অসীম মাঝি (৪০)ও বরিশালের আগোলঝাড়া উপজেলার বাগদা গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে দিপন বিশ্বাস। নিহত বাকিদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি নৈশকোচ মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা পৌঁছালে চালক এর নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে এটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের ছয় যাত্রী নিহত ও অন্তত ৩১ যাত্রী আহত হন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশসহ গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গা ও মুকসুদপুর ফায়ার সার্ভিসের চারটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এরপর সকাল ৭টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। দুঘর্টনাকলিত বাসটিতে আর কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তবে বাসের চালক ও হেলপারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি। সেখান থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পেয়েছি। বাকি লাশের পরিচয় পাওয়া গেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’